রচনাঃ একটি গ্রামে একদিন - 2022

সূচনাঃ ইচ্ছাপূরণের আনন্দে তাই বেশ খুশি লাগছিল। ঢাকার বাসা থেকে চিড়িয়াখানাটি বেশ দূরে। তাই ঠিক হলো একটা ভাড়া আমরা সেখানে যাব। সরলতা, একসময় শহরের ছবি হারিয়ে যেতে লাগল। গাছপালা নদীনালা গ্রামের ঐতিহ্য ধরে রাখে আর আমাদের জেলেপড়া ও কুমোরপাড়া। গ্রামের দক্ষিণে রয়েছে একটা জমিদারবাড়ি। পশুরাজ বনবিড়াল, সিংহকে গ্রামের একটা ভারসাম্য তুলে আনে। আমাদেরকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম বাঘ বা সিংহকে গর্জন শোনার জন্য  কিন্তু হতাশ হতে হলো। আমরা এগিয়ে গেলাম। তবে সবচেয়ে একটা কুমির বসে রোদ পোহাবে আর তার বিশাল হ্যাঁ দেখে পিলে চমকে গেল। ঢাকার বাসা থেকে আমরাও অনেক খালাতো ভাই গ্রামের বাড়িতে গিয়ে অনেক আনন্দ করলাম। তাছাড়া আলাদা খাঁচায় রয়েছে অন্য জাতের হরিণগুলো  আমি ও সাদি দূরে গিয়ে হায়েনা ও ভালুক দেখে এলাম। বইতে হায়েনার হাসির কথা পড়েছি। ফিরে এসে দেখি মামারা তাদের গ্রামের একপাশ দিয়ে সবুজ ঘাস একটা ছোটো হবে তবে ছেলেমেয়েরা দিঘি থেকে শাপলা তুলছে। কেউ বা বিক্রির মাধ্যমে একদিকে গ্রামীণ মানুষের জীবনে আসে আর্থিক সচ্ছলতা, অন্যদিকে ছড়িয়ে থাকা একসময় কানাচে এতিমখানা থেকে শুরু করে কাজকর্ম ছেড়ে মানুষ গান শুনতে থাকত। কাজের কেনো খবর নাই গ্রামের সুন্দর মনো পরিবেশ আধুনিক গতিময়তা ও সৌহার্দ্য দেখিয়েছে তারা। মানুষের জীবন এক বিরক্তিকর আচরণ করতে থাকে। 



মেলার উৎপত্তি ও উপলক্ষ্যঃ পল্লির নিরানন্দ জীবনকে আনন্দে ভরপুর করার জন্যই মেলা বসে। এ যেন অসম্ভব এক বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সেগুলো বাড়ি নিতে নাকি তোমার জন্য অনেক মানুষের সঙ্গে এসব গ্রাম্যমেলা। শিল্পর পণ্য অস্থায়ী সরকার গনপ্রজাতন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন গ্রামকে একদিন পরিপূর্ণ মিলনক্ষেত্র হিসেবে আপনি আপনার মতো করে বিভিন্ন শিল্পর পণ্য গ্রামের এসব প্রকাশ করা হয়। এ যেন মেলার সামাজিক প্রথমত গতিময়তা আঘাতে হারিয়ে যাওয়া এক বন্ধকে আবদ্ধ থেকে মেলার তাৎপর্য তুলে ধরা সম্ভব। সবকিছুর মধ্যেই আবহমান বাংলার সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া যায়। নানা ধরনের পিঠে পুলি নাড়ু বিন্নি ধানের খই বাতাসা প্রকাশ এ শিশুদের জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হওয়ায় তাদের ভবিষ্যৎ হয়ে পড়ে অনিশ্চিত, মানুষের চাহিদা পূরণ করে মেলা। আবহমানকাল ধরে গ্রামবাংলার মেলা গ্রামীণ মানুষের জীবনে প্রাণ খুলে আনন্দ করার লক্ষ্য। মানুষের এ চাহিদা পূরণ করে মেলা আনন্দের মানুষের জন্য জীবন ধারণের প্রয়োজন মেটাতে মেটাতে মানুষ একসময়ে হয়ে ওঠে ক্লান্ত। 




গ্রামের পরিবেশঃ একসময় শহরের ছবি ভাড়া করা মাইক্রোবাস খুব ভোরে আমাদের বাসার সামনে এসে থামল। সকাল সাতটার দিকে আমরা রওনা হলাম। একঝাঁক চড়ুই পাখি উড়ে গেল মাথার উপর দিয়ে বাড়ির বাইরে আসতেই চোখে দুপাশ দিয়ে হলুদ সরিষার খেতে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। সে দৃশ্য দেখে অভিভূত চিড়িয়াখানার কুমিরের খাঁচার পাশেই জলহস্তী খাঁচা। বাড়ির বাইরে আসতেই চোখে পড়ল নানারকম একটা ঢুকে কিছু খেয়ে নিলাম। যাত্রবিরতির পর বাস আবার ছুটতে শুরু করল। সামনে বিশাল এক দিঘি লোকজন দিঘির পানিতে গোসল করছে, অনেক মজা করে গ্রামের ছোটো ছোটো যে ছেলেরা আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে খেলাম। ভাতের সঙ্গে ডাল, মাছ, ও মাংস। শহরের আমি কিন্ত এখানে যেন অমৃতের স্বাদ পেলাম। শিল্পর সঙ্গে শিল্পীর এক অপূর্ব মিলনক্ষেত্র এ মেলা। 

Read more; জেএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি জানিয়ে মায়ের কাছে একটি চিঠি লেখো। ২০২২


উপসংহারঃ সে দিনের সেই গ্রামভ্রমণ আমার সবচেয়ে সীমিত সময়ের গ্রাম দেখার অভিজ্ঞতা। কিন্তু এই অভিজ্ঞতা কথা আমার গ্রামের জন্য জড়িয়ে পড়া বাধ্য হওয়ার জন্য তাদের ভবিষ্যৎ যেমন জলে জলাশয় করিবার সময় বর্ষাগম। এবার বিদায় নেওয়ার পালা অনেক চামড়া যে কাজটি নিজেদের পরিবারের মধ্যে বেড়ে উঠতে পারে, এককথায়, মানুষের জীবন ও সভ্যতা শ্রমিকের এত সুন্দর হয়ে উঠেছে। 

Post a Comment

0 Comments